Wednesday, May 15, 2024

সম্পর্কনামা ৬ - চিন্তা অকারণ


বিধিসম্মত সতর্কীকরণ। ইহা একটি অতীব দীর্ঘ বিশুদ্ধ ভাট জাতীয় পোস্ট। পাঠ করিবার সময় যৎপরণাস্তি বিরক্ত উৎপন্ন হইলেও হইতে পারে। তবে ইহা সুনিশ্চিত যে না পড়িলে উন্মুক্ত মনের হাস্যরস হইতে হয়ত বঞ্চিত হইবেন।

{
## ভাটানো শুরু --

লক্ষ্য করে দেখেছি খুব বেশিক্ষন কথা না বললে, মানুষজনের চিন্তা মেশিন চলতে শুরু করে দেয়। কাজের সুত্রে সোমবার থেকে বাড়ির বাইরে, কাজের সময় টুকু ছাড়া বকবক করার উপায় নেই। হোটেল এ ফিরে কুশল সংবাদ আদান প্রদান করার পর মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকা। আর তখনই মাথার চিন্তা মেশিন ঘুরতে শুরু করে দেয়। কাল রাতেও তাই হলো। বিরক্তিকর প্রহসন ময় ক্রিকেট দেখতে দেখতে শুয়ে পড়েছিলাম। কিন্তু মাথার চিন্তার চাকা থামেনি। রাশিয়ান রুলে এর মত চাকা থামল এক বিশাল লোডেড প্রশ্ন নিয়ে সকাল সকাল হাজির চিন্তা মেশিন " বাছা, বিরিঞ্চিবাবার মত অনেক তো বড় বড় দার্শনিক জ্ঞান দাও , এখন টুক করে বলে ফেল তো সম্পর্ক কি ? ভাল সম্পর্ক কাকে বলে আর খারাপ সম্পর্ক ব্যাপারটাই বা কেমন " ,, একেই বলে মনের সাথে মাথার যুদ্ধ। আর আমি হলাম গিয়ে উলুখাগড়া ,, যত চাপ আমার। তবে কেটে পড়ার পাত্র আমি না। হাতে খানিক সময় ছিল। তাই বেশ একটা দার্শনিক হাব ভাব নিয়ে ভাবতে বসলাম। 
একটা কাগজে লিখলাম প্রশ্ন কটা ।
১) সম্পর্ক কি ?
২) ভাল সম্পর্ক কাকে বলে ?
৩) খারাপ সম্পর্ক ব্যাপারটা কি ?
তাহলে যদি ব্যাপারটা মোদ্দা কথায় বলা যায়, দুটো মানুষের মধ্যে একটা যে কোন রকমের কিছু একটা transsactional ইয়ে থাকলেই হল। আর সেই ইয়েটাই হল "সম্পর্ক" । এইটা ভাবতে পেরে হেব্বি আনন্দ। উত্তরের কুলু (clue) টা পেয়ে গেছি। কিন্তু এটা নাহয় ডেফিনিশন হল, তার ব্যাখ্যা কে করবে। ব্যাখ্যা করার জন্য তাহলে উদাহরন লাগে। পরীক্ষায় যেমন বলে explain with at least 3 examples, সেইরকম আরকি। লিস্টি বানাতে শুরু করলাম , মা এর সাথে সম্পর্ক, বাপের সাথে সম্পর্ক , বউ এর সাথে , শালার সাথে সম্পর্ক ( শালী নিয়ে লিখলাম না , লোকজন কি ভাবতে কি ভাববে) , ভাই বা বোনের সাথে সম্পর্ক , ভাইপো, ভাইঝি, ভাগ্না ভাগ্নীর সাথে সম্পর্ক , বউ এর সাথে সম্পর্ক , বন্ধুর সাথে সম্পর্ক , পাড়ার মুদির দোকানের মালিক কার্তিকদার সাথে সম্পর্ক , ভার্চুয়াল সম্পর্ক, প্রেমের (পেমের না কিন্তু) সম্পর্ক, চটকে যাওয়া সম্পর্ক, মুখ দেখা বন্ধ টাইপের সম্পর্ক। লিস্টি বানাতে গিয়ে বেজায় ঝামেলা। কত রকম এর এন্ট্রি করা যায় লিস্টে। হাত ব্যাথা , মাথা ঝিম ঝিম। দেখলাম এগুলো সবই ভালো সম্পর্ক জাতীয়। হঠাৎ মনে হল যারা আমাকে শত্রু মনে করে যারা , বা যারা আমাকে ঘেন্না টাইপ এর করে , বা যারা আমাকে বেশ একটা হনু টাইপ এর ভাবে , তাদের সাথে আমার কি সম্পর্ক। এই ভাবনা শুরু হতেই সব কেমন যেন গুলিয়ে গেল। ওই সাত দু গুণে চোদ্দোর চার আর হাতে রইল পেন্সিল এর মত ভ্যাবাচ্যাকা হাল। এক কাপ কালো কফি হাতে নিয়ে দু চুমুক দিতে মাথাটা একটু খুলল। দেখলাম অঙ্ক দিয়ে এটা ভাবলে মনে হয় সহজ হবে। ধরা যাক ক ভালবাসে খ কে, এখানে সম্পর্ক টা কি হল তাহলে "ভালবাসা" , কিম্বা ক খ এর দু চক্ষের বিষ, সে ক্ষেত্রে সম্পর্ক টা হল "ঘেন্না" । এই রকম নানা রকমের ব্যাপার স্যাপার হয়। 
সুতরাং সম্পক্কো ( অনুপ্রাণিত উচ্চারণ) এক ধরনের কিয়া মূলক বিশেষ্য । উফফ কি চাপ , জানি পত্যেকে আমাকে পোচুর গালাগাল দিচ্ছে আর বলছে ভাট করার আর জায়গা পেলে না। 
তাহলে কি বোঝ গেল , সম্পর্ক হল গিয়ে একটা বিশেষ টানাপোড়েন । তার ভালো বা খারাপ হয় না । অঙ্ক দিয়ে বা ফিজিক্স দিয়ে ব্যাখ্যা করলে বলা যেত যে it's manifestation can be represented by a pair of vector with same direction but opposite senses। ঠিক জানি বেশ কয়েকজন বলছে এসব অঙ্ক ফিজিক্স টিজিক্স এর ভাট দিয়ে কোন লাভ নেই আসলে একটা একটা হেব্বি ফিজিকাল ব্যাপার। কিন্তু ফিজিক্স হোক বা ফিজিকাল হোক দুটো প্রাণী তো লাগবে এটা ঘটতে। আর যা ঘটে তার এক্সিস্টেন্স আছে । উফফ আর পারা যাচ্ছে না। মাথা ঝিম ঝিম করছে । Hypothesis টা সামলানো যাচ্ছে না। মোদ্দা কথা সম্পর্ক হতে গেলে কমপক্ষে দুটো মানুষ লাগবে , আর সে সম্পর্ক ভালো হোক বা খারাপ হোক ( একটু আগেই বলেছি এর ভাল খারাপ হয় না ) দুটো মানুষই একজন অন্যজন কে নিয়ে ভাববে। 
যাই হোক এই সব ঘ্যানঘ্যান করা পোস্ট কেউ যদি এতটা পড়ে ফেলে তাহলে বুঝতে হবে সেও ভাবছে। ক্ষতি কি না হয় আজ ভাবলে, আর এই ভাবতে ভাবতেই মনের কোনায় জমিয়ে রাখা সম্পর্ক গুলো নতুন করে ভালো লাগা ফিরিয়ে আনবে ,দেখে নিও। এইটাই তো সম্পর্ক জমিয়ে রাখার সুদ , আসল না হয় থাকলো জমার খাতায় ।

## ভাটানো শেষ --
}
অভ্র
১০ই মে ২০২৪


Tuesday, May 7, 2024

স্মৃতিচারণ ১৪ - মনের কথায় রবি ঠাকুর

ছবি ঋণ: অন্তর্জাল (ইন্টারনেট)


প্রতিবছর এই দিনটা আমাকে একবার ছোটবেলায় নিয়ে চলে যায়। আর নস্টালজিয়া মেশানো অনুভূতিটা বেশ অনেকক্ষন ঘিরে থাকে। জোব্বা পড়া, সাদা চুল দাড়িওয়ালা মানুষটা যে আমাদের জীবনের সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে আছেন সেটা আবার নতুন করে টের পাই। পঁচিশে বৈশাখ ঠিক শুধু রবীন্দ্রনাথের জন্মদিন বলে পালন হত, তা নয়, এটা ছিল জীবনযাপন এর একটা অঙ্গ। আমি বড় হয়েছি রবীন্দ্রচর্চার পরিবেশ এর মধ্যে দিয়ে। দাদাভাই , বৌদি , দিদিভাই , ভাইঝিরা সবাই কোন না কোন ভাবে রবীন্দ্রচর্চা করত। বাড়িতে গান বাজনা হত অনেক , কিন্তু বাবাকে কখনো সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহন করতে দেখিনি। তবুও এই দিনটায় একটা ঘটনা প্রতিবছর ঘটত। আমাদের বাড়িতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জোব্বা পড়া পেছনে দুই হাত জড়ো করা , সুন্দর একটা ছবি ছিল, বেশ বড় সাইজের, বোধহয় ১৮" x ২৪" মাপের । সেটা বাইরের ঘরের দেয়ালে ঝুলত অন্যান্য মনীষীদের ছবির সাথে। কিন্তু প্রতি বছর এই দিনে ঘুম থেকে ওঠার আগেই দেখতাম বাবা ঐ ছবি টা নামিয়ে একটা চেয়ার এ সাজিয়ে রাখতো, চেয়ারটাকে একটা চাদর দিয়ে ঢাকা দিয়ে তার উপর ছবিটা রেখে , মালা দিয়ে সাজানো, তার সামনে ধুপ জ্বালানো। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্টি নিয়ে যারা চর্চা করতেন বা করেন শুধু তাদের কাছেই নয় রবি ঠাকুর আপামর বাঙালির কাছে ঠাকুর এর মতই । তাই ওনার জন্মদিন উদযাপন আমাদের মননের মধ্যে ঢুকে পড়েছ , নিজের অজান্তেই। 
আজ দূরদর্শনের একটা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার সৌভাগ্য হয়েছিল।উদ্দেশ্য এটাই যে  মরূপ্রদেশের মানুষ জনের কাছে কবিগুরু কে পৌঁছে দেওয়া। ওই অনুষ্ঠানে কথা বলতে বলতে বার বার করে ৫০ বছর পিছিয়ে যাচ্ছিলাম। আর বার বার করে এটাই মনে হচ্ছিল যে ওনার সৃষ্টির ছোঁয়া পেয়ে বড় হয়েছি ।সহজ পাঠের পাতায় তৃতীয় শালিকটা খোঁজা থেকে শুরু করে ভানুসিংহের পদাবলীর অর্থ আত্মীকরণ , কিম্বা গল্প গুচ্ছের পাতায় চরিত্র গুলোর মধ্যে দিয়ে জীবন কে দেখা বা শেষের কবিতায় লাবণ্যকে নিজের কল্পনায় ফিরে ফিরে দেখা। আমার নিজের অস্তিত্বের সাথে কখন যে মিশে গেছে কে জানে। গান সেভাবে গলায় আসে না , কিন্তু মাথায় তো গানের সুর গুলো ঘুরে ফেরে। মাঝে মাঝে উৎপাতও শুরু করে দেয় । তখন মন কে শান্ত করার উপায় হল গীতবিতান এর পাতা গুলো। কখনো সুরের সাথে আমার মিউজিশিয়ান সত্ত্বার লড়াই হলে স্বরলিপি দেখে নিজেকে আশ্বস্ত করা। এটাই বোধহয় আমাদের মত অত্যন্ত স্বল্প জ্ঞানী মানুষের রবীন্দ্রযাপন। ওনাকে বুঝে ওঠা হয়তো এক জীবনের কাজ নয়। তিন কুড়ি পেরিয়ে এসেছি , বাকি সময় টুকু, ওই সমুদ্রের পাড়ে ঝিনুক কুরোবো। রবি ঠাকুর কে নিয়ে একটা ভালো উপমা শুনলাম , সেটা না বললে অন্যায় হবে। দূরদর্শন এর অনুষ্ঠানের যিনি সঞ্চালক ছিলেন উনি বললেন " পৃথিবীতে লিওনার্দো দা ভিঞ্চি যেমন একজনই , রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও একজনই..." 
২৫০০০ ft উচ্চতায় আকাশে বসে মনের কথা গুলো লিখে ফেললাম, আফসোস একটাই যদি কথা বলার মত করে গান গাইতে পারতাম , তাহলে হয়তো ওই মানুষটাকে আরো একটু বেশি করে জানতে পারতাম,,
অভ্রজিত
৭ই মে ২০২৪

Tuesday, April 30, 2024

বিশ্ব জ্যাজ সঙ্গীত দিবস - কিছু কথা

বিশ্ব জ্যাজ সঙ্গীত দিবস - কিছু কথা
-----------
সব ব্যাপারে আমার একটু পাকামো না মারলেই নয়। বয়েসের একটা ইয়ে আছে তো, কি আর করা যাবে। যদিও এই বিষয়ে আমার জ্ঞান খুবই সীমিত। তাও একটু আধটু গান বাজনা যা শিখেছি , তাও সে আমার বন্ধুর কৃপায়। ওর প্রবল উৎসাহ আর ওর কালো রঙের f-hole Acoustic Guitar টা না থাকলে এসব এর সংস্পর্শে আসাই হত না। আজ বিশ্ব জ্যাজ দিবস তাই মনে হলো এই নিয়ে দু চার কথা লিখি।

জ্যাজ শোনার শুরু সেই ছোট্ট বেলায় , তখন জানতাম না ওই ফরম এর মিউজিক এর নাম জ্যাজ। ছোটবেলায় , মানে ৬০ এর দশকের শেষের দিকে বা ৭০ দশকের প্রথম হবে দাদাভাই এর রেকর্ড চেঞ্জার এর সাথে অনেক কটা বিদেশী vinyl record ছিল। সেগুলোর মধ্যে একটা নাম্বার খুব ভালো লাগতো , Sidewinder ,, কার বাজানো ছিল সেটা মনে ছিল না , পড়ে জেনেছি। সেটা ছিল আমার জীবনে জ্যাজ এর প্রথম অভিজ্ঞতা। কেন যে ভালো লেগেছিল জানি না। আরো অনেক রেকর্ড ছিল , কিন্তু বার বার ওটাই শুনতাম। Golden guitar , persuasive percussion , এর সাথে আরো কিছু এ্যালবাম ছিল। কিন্তু Sidewinder শুনতেই বেশি ভাল লাগত। পরবর্তী কালে গিটার শেখার সময় দুম করে একদিন take five এর notation দিয়ে বলল বাজা। মজাটা বুঝলাম । কিন্তু তখন সেভাবে চর্চা করা হয় নি। তখন রক এর মোহ অনেক বেশি করে পেয়ে বসেছিল। তার অনেক অনেক পরে যখন একজন মেন্টার এর সাহায্য পেয়ে মিউজিক থিওরী গুলো একটু একটু করে বোধগম্য হতে শুরু করল, জ্যাজ , ব্লুজ এর সীমাহীন সমুদ্রে পাড়ি জমালাম। এখনো ভেসে চলেছি,, প্রতিদিনই notes গুলোকে নতুন করে দেখতে পাই , এটা একটা অদ্ভুত নেশা নেয়া ভালোলাগা। যেটুকু পারি তারই একটা ছোট টুকরো পোস্ট করলাম , as a humble tribute to every pioneers who have contributed, enriched, evolved the treasure of the Jazz music.

https://www.facebook.com/share/p/U7yE6E7HkNYpAc1c/?mibextid=oFDknk

Sunday, April 28, 2024

Happiness is a decision

আজ বিকেলে বেশ একটু দার্শনিক দার্শনিক লাগছিল নিজেকে  এবং ভাবছিলাম আমরা কতবার না সুখের সন্ধানে ছুটেছি আর এসব করতে গিয়ে হয়তো আরও অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতে পড়ে গিয়েছি। মানুষ নানা ভাবে চেষ্টা করে, অনেকগুলি বিকল্পের মধ্যে কোনো একটা সুখের উপায় খোঁজার চেষ্টা করে। কিন্তু অধ্যাবসায়ে বেশিরভাগ সময়েই বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে বুঝতে পারি না যে আমরা আসলে কী খুঁজছি, আনন্দ বা সুখ। এই সব নিয়ে নানা কথা ভাবছিলাম , অনেক কথা এদিক ওদিক দেখছিলাম , শুনছিলাম আমি , কিন্তু একটা কথা খুব মনে ধরল , কোথায় যেন শুনলাম  "সুখ একটি সিদ্ধান্ত,,," কি একটি চমৎকার বিমূর্ততা. একজন, যদি সিদ্ধান্ত নেয়, যে কোনও পরিস্থিতিতে খুশি হতে পারে। তাই আমরাও এই সপ্তাহান্তে খুশি হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। শুক্রবার সন্ধ্যায় এ উৎসব শুরু হযে গেল। আমার এক বন্ধুর বাড়িতে হাজির হয়ে গেলাম ,  তারা তাদের মেয়ে তানিয়া ( সে অবশ্য আমাকে "দে মশাই" বলে ডাকে এবং আমি তাকে আমার "বান্ধবী" বলে ডাকি) এবং তার স্বামীর সুখ শান্তির জন্য কিছু পুজোর আয়োজন করেছিল। তারা এই অনুষ্ঠানের জন্য পুনে থেকে উড়ে এসেছিল তারা, এবং আমরা সুযোগ হারাতে চাইলাম না , সিদ্ধান্ত নিলাম এই উইকএন্ডে আমরা খুব হৈ চৈ করব। শনিবার আমরা আমাদের বাড়িতে আনন্দ উদযাপন হল , একটি জমকালো ডিনার পার্টি, সবাই মিলে খুব আনন্দ করল। একটু গান বাজনা , দুর্দান্ত খাবার এবং অবশ্যই একটি ছোট ফটো সেশন। আজও যেমন উদযাপন অব্যাহত ছিল, আমরা সবাই মিলে ব্রাঞ্চের জন্য বেরিয়ে পড়লাম, দক্ষিণ ভারতীয় খাবারের । ভরপেট খাওয়াদাওয়া , তারপর কোল্ড ব্রু কফি। ভাল লাগার ওভারলোড উইকএণ্ডটাকে memorable করে দিলো আর সামনের সপ্তাহের জন্য চার্জ করে দিল। কিন্তু সব থেকে বড় কথা হলো আমি বুঝতে যে কোনও বিজ্ঞজনের বক্তব্য কতটা সত্য। সপ্তাহান্তে খুশি হওয়ার সিদ্ধান্তটা বেশ ভালরক উদযাপনে পরিণত হল। ভাবলাম খুশী টা সবার সাথে শেয়ার করি,,,,

This afternoon I was feeling a bit Philosophical , and was wondering how often we chase happiness, just like that. In such quest we mostly land up in even more unpleasant situations. People get into grinds , put on lots of endeavour to find happiness by trying out one of the many options. During these efforts we mostly get confused what we are  actually looking for, pleasure or happiness. But of late I have heard , in fact really liked a statement , " Happiness is a decision,,," what a wonderful abstraction. One , if decides , can be happy in any situation. So we decided to be happy this weekend. The celebration started on Friday evening. There was little get together on at my friend's place as they have arranged it for some Puja for the wellness of their kid Tanya (eventually she calls me " De Moshai" and I call her my girlfriend ) and her hubby. They came down from Pune for the occasion, and we decided to make the this weekend to be a happy one. Saturday we had a gala dinner at our place , they all came down and warmed up our nest. Good food along with awesome lubricants, engaging music, and of course a short photo session. As the celebration continued today , we all went out for a brunch , savoured South Indian cuisine. Zoomed around the city, had cold brew to chill. The the overloaded dollops of happiness filled up the weekend hours to charge us for the week ahead.. and I realised how true is the statement some wiseman uttered. The decision to be happy over the weekend turned out to be quite a celebration. 

Here come some snapshots of the happniezzz

Friday, April 26, 2024

স্মৃতিচারণ ১২ - অবতারের অবতরণ

স্মৃতিচারণ ১২ - অবতারের অবতরণ 

আজকাল ফেসবকে অনেক সুন্দর সুন্দর রিসার্চ করা লেখা , বা সুন্দর ভাষার  বাঁধুনি তে মিষ্টি গল্প, কত না জানা কথা নিযে ছোট্ট কোনো একটা টীকা , বেড়াতে যাবার হৈ চৈ করা উপাখ্যান, সব পোস্ট করে। কিন্তু আমার একটাই কাজ হয় স্মৃতিচারণ , নাহলে ছবি তোলা নিয়ে খানিক বক বক , কখনো সখনো দু একটা গিটার বাজানো পোস্ট করি । আসলে যা পারি তাই নিয়ে দ্রিম দ্রিমা দ্রিম করে ঢাক পেটানো। কিন্তু আসল কথা হল না পারি রিসার্চ, না পারি লেখা লিখি। একটা বুড়ো হাবড়ার তো একটাই সম্বল , সেটা হল দীর্ঘ ৫৮ বছরের স্মৃতি (দু আড়াই বছর বয়েসের আগের কোন স্মৃতি মনে পড়ে না , তাই দু বছর ডিসকাউন্ট করে দিলাম )। আজও সেই পুরোনো দিনের কথা নিয়েই বকর বকর।
আমি যখন ছোট ছিলাম ( সত্যি বলছি ডাক নাম বুড়ো হলেও, বছর পঞ্চাশ আগে এতটা বুড়ো ছিলাম না , ছোটই ছিলাম )। তখন সব নানা রকমের কান্ড ঘটত। আমার বড় দাদা মানে দাদাভাই এর যখন বিয়ে হল আমি তখন মাত্র ৩ বছর বয়সের ছানা। কাজেই বৌদির সাথে আমার সম্পর্কটাই একদম অন্য রকমের ছিল। সে গল্প না হয় অন্য দিন হবে। যা বলছিলাম , যেহেতু অনেকটাই ছোট ছিলাম , আমাকে শাসন করার অধিকারও ছিল বৌদির। আমিও একটু গন্ডগোলের মাল ছিলাম। রোজই কিছু না কিছু ঝামেলা পাকাতাম। বাড়িতে সবার থেকে ছোট , তাই গণ্ডগোল পাকালে বেশ চাপ হয়ে যেত। সবাই মিলে বকাবকি শুরু করে দিত। কিন্তু বড় বৌদি সেভাবে কোনোদিন সে ভাবে বকাবকি করত না , শুধু বলতো " অবতার একটা " কিম্বা " কোথাকার অবতার কে জানে " ,, কোনো কোনো দিন শুনতে হত " এমন অবতার আগে দেখি নি " । বাংলা বা হিন্দু পুরাণ অনুসারে বিষ্ণু বাবুর অনেক অবতার একটা নয় বোধহয় দশ দশটা । এই ক্ষেত্রে "অবতার" কথাটা খুব সম্মানের । কিন্তু যে অবতার এর কথা বলছি সেটা কিন্তু মোটেই কোন বিশেষ প্রশংসনীয় সম্বোধন নয়। সে যাই হোক , বড় হয়ে গেলাম তারপর । অনেকখানি বড় হয়ে যাবার পর "Avtar" নামে একটা মুভিও দেখে ফেললাম। নীল নীল সব অবতার। ব্যাপারটা কিন্তু অন্য জায়গায় । যেখানেই এই "অবতার" বা "অভ্টার" কথাটা শুনি , বৌদির কথা মনে পড়ে। কদিন আগে থেকে দেখচি অনেকেই নিজের নানান রকমের চেহারা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স দিয়ে বানিয়ে পোস্ট করছে। ইগনোর করছিলাম , নিজে " আমি আলাদা , সবাই যা করে আমি সেটা করিনা " এমন একটা ভাব নিয়ে নিজেকে "class apart" ভেবে মনে মনে কলার তুলে ঘুরছিলাম । কিন্তু বুড়ো হলে যা হয় " try করে দেখি না , আমাকে কেমন লাগে ", হলাম না হয় একটু না, অ্যাপ ডাউনলোড হলো , বেশ কয়েকটা so called Avtar বানানো হলো। আমি তো ভয়ঙ্কর ভাবে impressed হয়ে গেলাম। বাস্তবিক ভাবে এর মানুষের মন ভালো করার উপায় খুঁজে দিয়েছে। হোক না সে কল্পনা , হোক না সে কৃত্রিম, ভালো লাগাটা তো আসল , ওটাই উপভোগ করা আরকি। তবে আমি একা কেন উপভোগ করব , তাই ছবি গুলো দিলাম পোষ্ট করে, সবাই মিলে দেখ। আফসোস একটাই বৌদি বেঁচে থাকলে এগুলো দেখে হয়তো বলতো " অবতার একটা ",,

অভ্র
২৬ শে এপ্রিল ২০২৪


Tuesday, April 23, 2024

জয়পুরের আশেপাশে -১

জয়পুরে নয় নয় করে প্রায় একযুগ হয়ে গেল। এই মরুপ্রদেশে অনেক দেখার জায়গা। কিন্তু সেভাবে সবকিছু ঘুরে দেখা হয়ে ওঠেনি ।ইতিহাসে ঠাসা এই একটা রাজ্য। আর মজার ব্যাপার হলো ইতিহাস ছাড়াও আরো নানা রকমের অদ্ভুত সব ব্যাপার স্যাপার আছে। সেগুলোর অনেকটাই দেখা বা জানা হয় নি। কলকাতার পরিচিত একটা সংস্থা এই সব আকর্ষনীয় ব্যাপার নিয়ে অনেক কাজও করছে, যাতে করে মানুষ এই অঞ্চলটাকে আরো ভালো করে চেনে। লক্ষ্য করে দেখেছি কেউ আসে এখানে ইতিহাস কে চাক্ষুষ দেখতে , কেউ কেউ আসে রাজাদের সময় এর স্থাপত্য নিয়ে চর্চা করতে, অনেকে আবার আসে লোক সঙ্গীতের টানে, আবার কেউ কেউ আসে জমিয়ে ভুঁড়ি ভোজ করতে। রাজস্থান মানেই শুধু সোনার কেল্লা নয় , এটা লোকজন আজকাল বুঝেছে , তাই সব জায়গা গুলো এক্সপ্লোর করে।
কিন্তু এই ভূমিকার কারণ কি ; আসল কথাটা বলি। ২০২২ এর ডিসেম্বরে একটা রবিবার সকালে হঠাৎ করে ইচ্ছা হলো গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়ি। সাথে ম্যাডাম  , আরো তিনজন তিন বন্ধু কেও পেয়ে গেলাম। গাড়ির চাকা গড়ানোর পর ঠিক করলাম কোথায় যাবো। সাথে চললো আমার ক্যামেরা। শীতকাল , ভাবলাম শীতের জামাকাপড় পড়া উচিত, সেই ভেবে একটা sweat shirt পড়ে নিয়েছিলাম। খানিক দুর যেতে যেতেই বুঝলাম sweat shirt খুব কাজ করছে। জামার ভেতরে কুল কুল করে ঘামছি। ব্রেকফাস্ট ব্রেক এর পর বাধ্য হয়ে একটা tee shirt কিনে পড়ে নিলাম। সেখান থেকে যাত্রা শুরু হল , বেশি দূর না  ১২৫ কিমি দিয়ে মার্বেল শহর কিষানগড়। ঘন্টা দেড়েক পর পৌছালাম সেখানে। মার্বেল পাথর কেনার জন্য না, কারন কোন রাজ বানানোর ইচ্ছা আমার এখনো হয়নি। কিন্তু মার্বেল ডাস্ট এর ডাম্প ইয়ার্ড রয়েছে ওই শহরে, সেটা দেখার খুব উৎসাহ সবার। মার্বেল শহরে অনেক ছোটো বড় , বিশাল বড় মার্বেল প্রসেসিং ইউনিট আছে , সেখানে ইয়া বড় বড় মার্বেল এর রক কেটে কেটে , পালিশ করে স্ল্যাব বানানো হয়। এই কান্ড কারখানায় প্রচুর মার্বেল এর মিহি গুঁড়ো বের হয় । কিন্তু সেই সাদা ধুলো ভয়ঙ্কর ব্যাপার । নাক দিয়ে ফুসফুসে চলে গেলেই বিপদ। তাই সাদা সাদা গুঁড়ো গুলোকে জলে গুলো ঘোল বানিয়ে একটা বিশাল এক নিচু জমিতে ফেলে দিয়ে আসে। অনেক শুনেছি , ভাবতাম কি এমন আর জায়গা , সাদা সাদা কটা টিলা মতন হবে।কিন্তু এই মার্বেল ডাস্ট এর স্লারী জমতে জমতে একটা দুর্দান্ত ল্যান্ডস্কেপ তৈরি হয়ে গেছে। চারিদিকে ধপধপে সাদা ,, ছোট ছোট টিলা, নীল আকাশ আর অনেক খানি জায়গা জুড়ে জমে থাকা জল, একদম স্বচ্ছ হালকা নীলচে সবুজ। মনে হচ্ছিল না যে এটা মরুপ্রদেশ। ছবি তোলার জন্য আদর্শ স্পট। ভাগ্যিস ক্যামেরা সাথে ছিল। সূর্য্য যে অ্যাঙ্গেল এই থাকুক না কেন , পুরো জায়গাটাই রিফ্লেকটর এর কাজ করছে, বেশ কিছু ছবিও তুলে ফেললাম। সেই ছবি গুলো পরেই ছিল ফোল্ডারে। ভাবলাম শেয়ার করি । শীতকালের দিকে আউটডোর ফ্যাশন শুট এর জন্য আদর্শ জায়গা। শীতের সময় এদিক পানে এলে, ক্যামেরা বগলে একবার ঘুরে আসতে পারো, খারাপ লাগবে না।

Monday, April 8, 2024

স্মৃতিচারণ -১১

স্মৃতিচারণ - দীপ আর রিভু এর গল্প

আমাদের পাশের বাড়ি দীপ থাকত , আর তার পাশের বাড়িতে থাকত রিভু। আমার ঘনিষ্ট বন্ধু এরা। সেবার দুর্গাপুজোর সপ্তমীর দিন দুপুরবেলা ভরপেট খাওয়া দাওয়ার পর প্যান্ডেল এ বসে আড্ডা চলছে। 
আমি দীপ কে জিজ্ঞাসা করলাম,
" হ্যাঁ রে কাল বিকেল বেলা কি করছিলি ?"
দীপ আমার দিকে অবাক হয়ে খানিক তাকিয়ে রইল তার পর উত্তর দিল, "  তুমি দেখছি কিছুই জান না , কোন আওয়াজ পাও নি কাল ?? "
আমিও অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করলাম ," কই কোনো আওয়াজ পাই নি তো , কেন কি হয়েছিল? "
একটু ধমক দিয়েই সে বলল, " তুমি তো এক্কেবারে উফফফফ ,, দেখতে পাওনি একটা হেলিকপ্টার নেমেছিল আমাদের ছাতে। আমার সাথে ওরা গল্প করতে এসেছিল , উজবেকিস্তান থেকে। গল্প করল তারপর একটু  তেঁতুলের আচার খেয়ে , তোমাদের বাড়ির থেকে দুটো হলদে ফুল নিয়ে উড়ে গেল। "
এই সব শুনে আমি খুব লজ্জায় পড়ে গেলাম । দীপ এর কাছে আমার বেশ বেইজ্জত হতে হল। অস্বস্থি কাটাতে আমি রিভু কে জিজ্ঞাসা করলাম " তুই তো ওপাশের বাড়িতে থাকিস , তুইও কি কিছু দেখিস নি ?" 
রিভুও আমার দিকে তাকিয়ে ঠোঁট বেঁকিয়ে , হাত উল্টে উল্টে বলল, " আমি কি করে জানব , আমি তো বাড়ীতেই ছিলাম না । লেকের ধারে গিয়েছিলাম ওরা এসেছিল, ওদের জন্য দুটো করে সিঙ্গাড়া, আর একটা করে মর্তমান কলা নিয়ে গিয়েছিলাম। "
আমি কেবলে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম ," কারা এসেছিল ?"
রিভু কেমন একটা " একে নিয়ে আর পারা গেল না " টাইপ এর একটা দৃষ্টি দিয়ে আমার দিকে খানিক তাকিয়ে বলল, " তুমি দেখছি আজকাল সব ভুলে যাও , ওই যে আমাদের লেকে যে ব্রনটো আর স্টেগী থাকে ,ওরা আমার সাথে ক্যারাম খেলতে এসেছিল, তাই ওদের ক্লাবে নিয়ে গেলাম, ওখানেই সিঙ্গাড়া আর কলা খেল।"
আমি দেখলাম খুব বিপদ , আমার কাছে তো কোন খবরই নেই। বুঝলাম বেশি কথা বাড়ালে আমার খ্যাঁদা নাকটা পুরোপুরি কাটা যাবে। তাই "আচ্ছা ঠিক আছে , ঠিক আছে" বলে মানে মানে কেটে পড়লাম ওখান থেকে।

---- 
উপরের কথোকথনটি পুরোপুরি কাল্পনিক নয় , এই দীপ আর রিভুর বয়স ছিল তখন খুব বেশি হলে ৫ কি ৬ বছর । আমার সাথে কচি গুলোর ভালো জমত (পূর্ব মেদিনীপুরে ছোটদের আদর করে কচি বলে ডাকে ) । সেবার পুজোয় আমি বাচ্চাদের একটা গুল মারার কম্পিটিশন করিয়েছিলাম। এই লেখাটা সেই সব মজার কথাগুলোর স্মৃতিচারণ। রিভু এখন আইআইটি চেন্নাই তে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছে । দীপ ও নিশ্চই অনেক বড় হয়ে গেছে। এই কচিগুলো আমাকে অনেক ক্ষেত্রেই নতুন করে কল্পনা করতে শিখিয়েছে, ওদের কাছে বাঁধনহীন ভাবনা ভাবতে শিখেছি।

- অভ্র
৮ই এপ্রিল ২০২৪